Sunday, November 24, 2024
Homeখেলাসুপার ওভারে নিউজিল্যান্ডকে হারাল শ্রীলঙ্কা

সুপার ওভারে নিউজিল্যান্ডকে হারাল শ্রীলঙ্কা

শেষ বলটি হাফ-ভলিতে ফেলেছিলেন দাসুন শানাকা। চাবুকের মতো ব্যাট চালিয়ে মিডউইকেটের উপর দিয়ে তা সীমানা ছাড়া করেন ইশ সোধি।ম্যাচ টাই করতে শেষ বলে ছক্কারই দরকার ছিল নিউজিল্যান্ডের। যার ফলে খেলা গড়ায় সুপার ওভারে। কিন্তু ৬ বলের লড়াইয়ে পেরে উঠেনি কিউইরা। স্বাগতিকদের দেওয়া ৯ রানের লক্ষ্য মাত্র দুই বলে পাড়ি দিয়ে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জয় তুলে নিল শ্রীলঙ্কা।

অবশেষে নিউজিল্যান্ড সফরে এসে জয়ের দেখা পেল লঙ্কানরা। টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাই হওয়ার পর ওয়ানডে সিরিজেও ধরা দেয়নি জয়। কিন্তু টি-টোয়েন্টি সিরিজ আসতেই বদলে গেল দলটি। অকল্যান্ডে টস জিতে তাদের আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় কিউইরা। ইনিংসের প্রথম বলসহ পাওয়ার প্লের ভেতর তিন উইকেট হারালেও লঙ্কানদের শুরুটা ছিল আক্রমণাত্মক। চতুর্থ উইকেটে কুশল পেরেরা সঙ্গে ১০৩ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন চারিথ আসালাঙ্কা।

ফলে ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৬ রান তোলে সফরকারীরা। ৪১ বলে ২ চার ও ৬ ছক্কায় ৬৭ রান করেন আসালাঙ্কা। ৪৫ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৫৩ রানে অপরাজিত ছিলেন পেরেরা। শেষ দিকে ১১ বলে ২ ছক্কায় ২১ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে দলকে সুবিধাজনক অবস্থায় নিয়ে যান ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।  কিউইদের হয়ে দুটি উইকেট নেন জিমি নিশাম।

জবাব দিতে নেমে  ৮ উইকেট হারিয়ে ২০ ওভারে ঠিকই ১৯৬ রানে থামে নিউজিল্যান্ড। শুরুতে অবশ্য ৩ রানের ভেতরই হারায় দুই ওপেনার টিম সাইফার্ট ও শাদ বাউসের উইকেট। তবে টম ল্যাথামকে নিয়ে হাল ধরেন ড্যারিল মিচেল। তৃতীয় উইকেটে ৬৬ রান তুলে খেলায় গতি ফিরিয়ে আনেন তারা। ল্যাথাম অবশ্য ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৬ বলে ২৭ রান করে ফিরে যেতে হয় তাকে। তবে মার্ক চাপম্যানের সঙ্গে আবারও বড় জুটি গড়ে তোলেন মিচেল। চতুর্থ উইকেটে এই জুটি থেকে আসে ৬৬ রান। ১৫ তম ওভারে চাপম্যানকে (৩৩) হারিয়ে লঙ্কানদের ব্রেক থ্রু এনে দেন হাসারাঙ্গা।  পরের ওভারেই মিচেলকে সাজঘরে পাঠান শানাকা। লঙ্কান অধিনায়কের শিকার হওয়ার আগে ৪৪ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৬ রান করেন  ডানহাতি এই ব্যাটার।

মিচেল আউট হওয়ার পর লঙ্কানদের জয়ের কাজটা সহজই হবে বলে মনে হচ্ছিল। জয়ের জন্য তখনো ৫৩ রান দরকার ছিল কিউইদের।  কিন্তু স্বাগতিকদের ম্যাচে টিকিয়ে রাখেন রাচিন রবীন্দ্র। এগিয়ে যেতে থাকেন টেল এন্ডারদের নিয়ে। শেষ ওভারে ১৩ রান দরকার ছিল নিউজিল্যান্ডের।  প্রথম বলেই রবীন্দ্রকে ফিরিয়ে দেন শানাকা। তার পর দুই বলে দুই রান করে নেন সোধি।  শেষ বলে তার ছক্কাতেই খেলা গড়ায় সুপার ওভারে।

কিন্তু লঙ্কান স্পিনার মাহিশ থিকশানার করা সেই ওভারে কেবল ৮ রানই নিতে পারে নিউজিল্যান্ড। প্রথম বলে সিঙ্গেল নেন মিচেল। পরের বলটিতে ওয়াইড দেন থিকশানা। কিন্তু সেই বলের বৈধ ডেলিভারিতে নিশামকে সাজঘরে পাঠান তিনি। তৃতীয় বলে তার থেকে রান নিতে পারেননি ক্রিজে আসা চাপম্যান। চতুর্থ বলে দুই রান নেওয়ার পর পঞ্চম বলে ৪ হাঁকান এই ব্যাটার। কিন্তু শেষ বলে তাকেও আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয়।  

৯ রানের পুঁজি ডিফেন্ড করতে নিউজিল্যান্ডের বোলার ছিলেন অ্যাডাম মিলনে। তার প্রথম সিঙ্গেল নেন কুশল মেন্ডিস। তবে দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকান আসালাঙ্কা। পরের বলটি নো করেন মিলনে। সেই বলে চার হাঁকিয়ে লঙ্কানদের জয় নিশ্চিত করেন আসালাঙ্কা। এর আগে ঝোড়ো এক ইনিংস খেলায় ম্যাচ-সেরার পুরস্কার পান বাঁহাতি এই ব্যাটার। এদিকে, লঙ্কানদের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন  শানাকা, হাসারাঙ্গা ও প্রমোদ মাদুশান।

বাংলাদেশ সময়: ১১১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০২৩  

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments